'২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস' এর স্মরণে ২১ আগস্ট, ২০২২ তারিখে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল' এন্ড পলিটিক্স রিভিউ (ডি ইউ এল পি আর) একটি ওয়েবিনার এর আয়োজন


 

'২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস' এর স্মরণে ২১ আগস্ট, ২০২২ তারিখে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল' এন্ড পলিটিক্স রিভিউ (ডি ইউ এল পি আর) একটি ওয়েবিনার এর আয়োজন করে যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল "বাংলাদেশ আফটার দা ২১ আগস্ট: এনালাইজিং দা পলিটিক্যাল স্পেকট্রাম"। আলোচনা অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ডেপুটি প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এসিসট্যান্ট এডভোকেট এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ল' সেক্রেটারি ব্যারিস্টার সিমা করিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ইউনিভার্সিটি ল' এন্ড পলিটিক্স রিভিউ (ডি ইউ এল পি আর) এর চীফ এডিটর তানভীর আহমেদ ফাহিম।

 

সঞ্চালক ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলায় নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোআনা শুরু করেন। প্রধান অথিতি ২১ আগস্টের নির্মম হামলাকে ১০৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যা কান্ডের সম্পূরক হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদেরকে বিভিন্নভাবে সম্মানিত করেছে,  চাকরি ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তারাই ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলার কুশীলব। তিনি আরো বলেন এসকল হত্যাকারী এবং তাদের প্রেতাত্মারা আজও আছে; কেউ লুকিয়ে আছে আবার কেউ বমাদের সাথেই মিশে আছে। সুযোগ পেলেই তারা তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করবে।

অতিথিরা বলেন, একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে এমণ হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তারা এই হত্যাকাণ্ডকে ২৫শে মার্চের কালো রাতের সাৎে তুলনা করেন। এমণ হীন প্রচেষ্টার পেছনের কারণ বিশ্লেষণ করে তারা বলেন, হামলাকারীদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামীলীগকে এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূণ্য করা,  সর্বপরি দেশের গণতন্ত্র এবং সার্বিক ব্যবস্থাকে  অচল করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। আলোচকরা আরো বলেন, রাষ্ট্র পক্ষের সরাসরি মদদ ছাড়া এমণ ঘটনা ঘটা সম্ভব হয়নি যা তার পরবর্তী পদক্ষেপগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে এবং এখন তাদের মুখোশ পরিপূর্ণরূপে প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এক তানা থেকে অন্য থানা ঘুরে বেড়িয়েছেন কিন্তু মামলা গৃহিত হয়নি। রাষ্ট্রীয় মদদে যথাযথভাবে এপআইআর পর্যন্ত হয়নি। পক্ষান্তরে তৎকালীন সরকার দায় এড়ানো বক্তব্য প্রদান করেছে। তসরা আরো বলেন, ২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত এত বড় একটি নৃশংস ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধান হয়নি। এই অসংলগ্ন আচরণ প্রমাণ করে বিএনপি-জমায়াত এই হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল। তদন্তের পর বেরিয়ে এসেছে যারা এই ঘটনায় জড়িত তারা সকলেই বিএবপি- জমায়াতের সাথে জড়িত। প্রধান অতিথি আক্ষেপ করে বলেন, আজকে যারা মানবাধিকারের বুলি আওড়ান, তারা এবং তাদের পূর্বপুরুষরা ২১ শে আগস্টে নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে। ওয়েবিনারের শেষাংশে লাইভে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন নেওয়া হয় এবং প্রশ্নোত্তরপর্ব পরিচালিত হয়। ওয়েবিনারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল।


প্রতিবেদক: জসিম উদ্দিন, সিনিয়র এডিটর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল' এন্ড পলিটিক্স রিভিউ

Post a Comment

0 Comments