১৫ই আগস্টের অপরাধীদের বাংলাদেশে প্রত্যার্পণ: বিচারের রাজনৈতিক এবং আইনি গতিশীলতা (Extradition of the 15th August criminals to Bangladesh: The Political and Legal dynamics of the Trial) শীর্ষক ওয়েবিনার-এর আয়োজন

 


জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট, ২০২২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ' অ্যান্ড পলিটিক্স রিভিউ (DULPR) "১৫ আগস্টের অপরাধীদের বাংলাদেশে প্রত্যার্পণ: বিচারের রাজনৈতিক এবং আইনি গতিশীলতা" (Extradition of the 15th August criminals to Bangladesh: The Political and Legal dynamics of the Trial)" শীর্ষক ওয়েবিনার-এর আয়োজন করে।

এই আলোচনার লক্ষ্য শুধুমাত্র এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুটির নিছক ঘটনার উপর আলোকপাত করা নয়। এই অবশিষ্ট অপরাধীদের বিলম্বিত প্রত্যর্পণের পেছনের কারণ সীমাবদ্ধতা, প্রচেষ্টার পিছনে রাজনৈতিক আইনি বাধা, প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলগুলির সম্ভাব্য উপায়, এবং কীভাবে পূর্বের প্রত্যর্পণের অভিজ্ঞতা এবং রায় অনুসরণ করা যায় ক্ষেত্রে তা উপলব্ধি করাও আলোচনার উদ্দেশ্য।

মূল আলোচনার প্যানেলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো: ... মাকসুদ কামাল, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: খুরশেদ আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর .. আশরাফুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসেইন।

ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের কিভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতাধীন করা যায়, এক্ষেত্রে সরকারের কি ভূমিকা এবং কি কি কূটনৈতিক উপায় রয়েছে বিচারের জন্য। মূল বক্তব্য ছিল কিভাবে প্রত্যপর্ণ চুক্তি (Extradition treaty) ব্যবহার বা এর সম্প্রসারণ করা যায় অন্য দেশের সাথে যেনো তারা অপরাধীদের ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়। সরকার, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি করণীয় এবং চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলে আরো কি পথ রয়েছে আরো তাও আলোচনার বিষয় ছিল। প্রশ্ন উঠে দেশের কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের এখন পর্যন্ত মামলা বিষয়ক অগ্রগতি এবং কৃতিত্ব নিয়ে।

সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে যেসব উপায় এবং সুপারিশ প্রাধান্য পায় সেগুলো হলো - চুক্তির জন্য আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সাথে বৈঠকে বসা, তাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ দলিলসহ আবেদন করা, তাতেও তারা রাজি না হলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য নেয়া, দক্ষ কূটনৈতিক আলাপ ইত্যাদি। একটি বিষয়ে সকলে জোর দিয়েছেন যে, সমাধানের জন্য সরকারের উচিত সকল আইন এবং কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনায় বসা। এছাড়া শক্ত আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগণ বিশ্বের প্রধান ব্যক্তিবর্গের কাছে নিজেদের দাবি পৌঁছিয়ে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে ছিল আলোচনার বস্তু।

এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এটি লাইভ প্রচার করা হয় গ্রুপের পেজ থেকে এবং সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দেন বক্তারা। দক্ষভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, তরুণ উৎসুক আইনজীবী এবং গবেষকদের যুক্ত করে সমাধান বের করা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রত্যাশা জানান বক্তারা যার মাধ্যমে ওয়েবিনারটি সমাপ্ত হয়।


প্রতিবেদক: সায়েদা মোবাশশীর মাহজাবিন নাহিয়ান , অ্যাসোসিয়েট এডিটর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল' এন্ড পলিটিকস রিভিউ

 

 


Post a Comment

0 Comments